অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেড্রোস আধানম গেব্রিয়াসিস বলেছেন, গাজা উপত্যকার আল-আকসা হাসপাতালে রোববার ইসরায়েলি বিমান হামলায় চারজন নিহত এবং ১৭ জন আহত হয়েছে। খবর এএফপি’র।
টেড্রোস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে পোস্ট করা এক বার্তায় বলেন, গাজার
আল-আকসা হাসপাতালের চাহিদা মূল্যায়নে এবং ইনকিউবেটর সংগ্রহে সেখানে পাঠানো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি দল হাসপাতালটি পরিদর্শন করে।
এদিকে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী হাসপাতালটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
‘হু’ প্রধান লিখেছেন ‘ডব্লিউএইচও’র একটি প্রতিনিধি দল গাজার আল-আকসা হাসপাতালে একটি মানবিক মিশন পরিচালনা করার সময় হাসপাতালের কম্পাউন্ডের ভিতরে একটি ক্যাম্প আজ ইসরায়েলি বিমান হামলার শিকার হয়েছে।’
তিনি হতাহতদের ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু উল্লেখ করেননি।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এক্স’কে বলেছে, তাদের একটি বিমান ‘ইসলামিক জিহাদের কার্যক্রম চালানো একটি কমান্ড সেন্টারে আঘাত হেনেছে এবং এ সময় যোদ্ধারা দির আল বালাহ এলাকার আল-আকসা হাসপাতালের আঙিনায় অবস্থান করছিল।
তারা আরো জানায়, ‘সুনির্দিষ্ট অবস্থানে এই হামলা চালানোয় আল-আকসা হাসপাতাল ভবনের কোন ক্ষতি হয়নি এবং তা হাসপাতালের কার্যক্রমে কোন প্রভাব ফেলেনি।
পরে দেওয়া এক পোস্টে টেড্রোস বলেন, গত ১৮ মার্চ থেকে গাজা সিটির উত্তরাঞ্চলীয় আল-শিফা হাসপাতালে ২১ জন রোগী প্রাণ হারিয়েছে।
টেড্রোস সংঘাত চলাকালে রোগী, চিকিৎসক এবং সাহায্য কর্মীদের সুরক্ষিত রাখার এবং হাসপাতালের ওপর হামলা বন্ধ করার জন্য নতুন করে আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা আবারো রোগী, স্বাস্থ্য কর্মী এবং মানবিক মিশনের সুরক্ষার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।’
‘হাসপাতালের ওপর চলমান হামলা ও সামরিক অভিযান অবশ্যই বন্ধ করতে হবে এবং এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক মানবিক আইনকে অবশ্যই সম্মান করতে হবে।’
টেড্রোস গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব মেনে চলার জন্য সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল ভূখ-ে হামাসের নজিরবিহীন হামলার মধ্যদিয়ে এই যুদ্ধ শুরু হয়।
ইসরায়েলের সরকারি পরিসংখ্যানের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা এএফপি’র সমীক্ষা অনুযায়ী, ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় ইসরায়েলে প্রায় ১,১৬০ জন নিহত হয়েছে। এদের বেশিরভাগই বেসামরিক লোক। এদিকে গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, গাজায় ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক অভিযানে কমপক্ষে ৩২,৭৮২ জন নিহত হয়েছে। এদের বেশিরভাগই নারী এবং শিশু।
Leave a Reply